২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদির আমিরাত সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে নতুন এক সমন্বিত এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের সূচনা হয়
আমিরাতকে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ভারত-আমিরাত সম্পর্ক এখন নতুন মাইলফলকের যুগে প্রবেশ করেছে। ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ফিনটেক সংযোগ বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো, ডিজিটাল প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শক্তিশালী সহযোগিতার মাধ্যমে এই সম্পর্ক এগিয়ে চলেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর ২০২৪) দুবাইয়ে সিম্বায়োসিস ক্যাম্পাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ২০১৫ সালের আমিরাত সফরকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই সফর ছিল এই শতাব্দীতে কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম আমিরাত সফর। এটি ভারত-আমিরাতের মধ্যে একটি নতুন সমন্বিত এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের সূচনা করেছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ভারতে ও আমিরাতের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (সিইপিএ) দ্রুত সমাপ্তির বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “আমাদের দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে এবং প্রতি বছর বাড়ছে। রুপে-জেওয়ান বা ইউপিআই-আনে-এর মতো ফিনটেক সংযোগগুলো তাদের ক্ষেত্রে প্রথম। প্রকৃতপক্ষে, আমরা যে কার্যক্রম ও সহযোগিতা ক্রমাগত সম্প্রসারণ করছি – তা নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অবকাঠামো, ডিজিটাল প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা বা নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই হোক না কেন – সবগুলোই নিজ নিজ ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক।”
তিনি আরও বলেন, “এই ক্যাম্পাস এবং এখানে আপনার শিক্ষা ভারত ও আমিরাতের মধ্যে অভূতপূর্ব ঘনিষ্ঠতার বৃহত্তর প্রবণতার অংশ।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বর্তমান বিশ্ববাজারের জন্য প্রস্তুত হওয়া ভারতের জন্য জরুরি। পাশাপাশি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ, বৈদ্যুতিক গাড়ি, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, মহাকাশ এবং ড্রোনের যুগের জন্য প্রস্তুত হওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্ভাবনাগুলোকে কর্মসংস্থানমুখী এবং বাজারোপযোগী করার মাধ্যমে পরিচালনা করার প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি বলেন। “এটা করার সময় আমাদের অবশ্যই নিজেদের মধ্যে এবং বিশ্বের কাছে আমাদের আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির সুফলগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ করতে হবে,” তিনি যোগ করেন।
নতুন ক্যাম্পাসটি ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তি এবং মিডিয়া ও যোগাযোগের কোর্স প্রদান করবে, যা ভারত ও আমিরাতের শিক্ষাবিদদের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা ও গবেষণা সংযোগের জন্য সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জয়শঙ্কর, যিনি এ দিন সকালে দুবাই পৌঁছান, এ বছরের জুন মাসেও আমিরাত সফর করেছিলেন।
“আজকের অনুষ্ঠান শুধু একটি নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন নয়; এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান শিক্ষাগত সহযোগিতার উদযাপন,” জয়শঙ্কর বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, আমিরাতে ১০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ভারতীয় স্কুল ভারতীয় কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষা দিচ্ছে, যা ৩ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে উপকৃত করছে। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্টাডিজ এবং ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস আমিরাতে প্রাতিষ্ঠানিক এবং শিক্ষার্থী সনদ প্রদান করছে বলেও তিনি জানান।
এ বছর জানুয়ারিতে আবুধাবিতে আইআইটি দিল্লি ক্যাম্পাসে প্রথম মাস্টার অফ টেকনোলজি (এমটেক) প্রোগ্রাম ‘এনার্জি ট্রানজিশন অ্যান্ড সাস্টেইনেবিলিটি’ চালু হওয়ার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ভারত ও আমিরাত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য। এই সমঝোতা স্মারক দুই দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতা শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল। এর আওতায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিনিময়, যৌথ গবেষণা প্রোগ্রাম, কোর্স ডিজাইন, সম্মেলন, বক্তৃতা, সিম্পোজিয়াম, এবং বৈজ্ঞানিক ও শিক্ষামূলক প্রদর্শনীর মতো কার্যক্রম আয়োজন এবং এতে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর ২০২৪) দুবাইয়ে সিম্বায়োসিস ক্যাম্পাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ২০১৫ সালের আমিরাত সফরকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই সফর ছিল এই শতাব্দীতে কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম আমিরাত সফর। এটি ভারত-আমিরাতের মধ্যে একটি নতুন সমন্বিত এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের সূচনা করেছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ভারতে ও আমিরাতের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (সিইপিএ) দ্রুত সমাপ্তির বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “আমাদের দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে এবং প্রতি বছর বাড়ছে। রুপে-জেওয়ান বা ইউপিআই-আনে-এর মতো ফিনটেক সংযোগগুলো তাদের ক্ষেত্রে প্রথম। প্রকৃতপক্ষে, আমরা যে কার্যক্রম ও সহযোগিতা ক্রমাগত সম্প্রসারণ করছি – তা নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অবকাঠামো, ডিজিটাল প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা বা নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই হোক না কেন – সবগুলোই নিজ নিজ ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক।”
তিনি আরও বলেন, “এই ক্যাম্পাস এবং এখানে আপনার শিক্ষা ভারত ও আমিরাতের মধ্যে অভূতপূর্ব ঘনিষ্ঠতার বৃহত্তর প্রবণতার অংশ।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বর্তমান বিশ্ববাজারের জন্য প্রস্তুত হওয়া ভারতের জন্য জরুরি। পাশাপাশি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চিপ, বৈদ্যুতিক গাড়ি, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, মহাকাশ এবং ড্রোনের যুগের জন্য প্রস্তুত হওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্ভাবনাগুলোকে কর্মসংস্থানমুখী এবং বাজারোপযোগী করার মাধ্যমে পরিচালনা করার প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি বলেন। “এটা করার সময় আমাদের অবশ্যই নিজেদের মধ্যে এবং বিশ্বের কাছে আমাদের আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির সুফলগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ করতে হবে,” তিনি যোগ করেন।
নতুন ক্যাম্পাসটি ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তি এবং মিডিয়া ও যোগাযোগের কোর্স প্রদান করবে, যা ভারত ও আমিরাতের শিক্ষাবিদদের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা ও গবেষণা সংযোগের জন্য সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জয়শঙ্কর, যিনি এ দিন সকালে দুবাই পৌঁছান, এ বছরের জুন মাসেও আমিরাত সফর করেছিলেন।
“আজকের অনুষ্ঠান শুধু একটি নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন নয়; এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান শিক্ষাগত সহযোগিতার উদযাপন,” জয়শঙ্কর বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, আমিরাতে ১০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ভারতীয় স্কুল ভারতীয় কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষা দিচ্ছে, যা ৩ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে উপকৃত করছে। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্টাডিজ এবং ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস আমিরাতে প্রাতিষ্ঠানিক এবং শিক্ষার্থী সনদ প্রদান করছে বলেও তিনি জানান।
এ বছর জানুয়ারিতে আবুধাবিতে আইআইটি দিল্লি ক্যাম্পাসে প্রথম মাস্টার অফ টেকনোলজি (এমটেক) প্রোগ্রাম ‘এনার্জি ট্রানজিশন অ্যান্ড সাস্টেইনেবিলিটি’ চালু হওয়ার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ভারত ও আমিরাত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য। এই সমঝোতা স্মারক দুই দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতা শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল। এর আওতায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিনিময়, যৌথ গবেষণা প্রোগ্রাম, কোর্স ডিজাইন, সম্মেলন, বক্তৃতা, সিম্পোজিয়াম, এবং বৈজ্ঞানিক ও শিক্ষামূলক প্রদর্শনীর মতো কার্যক্রম আয়োজন এবং এতে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক